সইনুল রহমান আকাশ,
বসন্তের আগমনে আবহমান গ্রামবাংলার প্রকৃতিকে রাঙিয়ে অনেক ফুল ফোটলেও এখন আর তেমন চোখে পড়েনা রক্তলাল শিমুল ফুল।
কিন্তু কালের বিবর্তনে পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলাতে আগুন ঝরা ফাগুনে চোখ ধাঁধানো গাঢ় লাল রঙের অপরূপ সাজে সজ্জিত শিমুল গাছ এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে।
বিগত এক-দেড় যুগ আগেও আটোয়ারী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের অধিকাংশ বাড়ির আঙ্গিনায় আনাচে কানাচেসহ রাস্তার ধারেও অনেক শিমুল গাছ দেখা যেতো। প্রতিটি গাছে গাছে প্রস্ফুটিত শিমুল ফুলই স্মরণ করিয়ে দিতো বসন্তের আগমনকে।
শীতের পরেই ঋতুরাজ বসন্ত আগমনের সাথে সাথে প্রকৃতিতে লেগেছে তার ছোঁয়া,
প্রতিটি গাছেই আসতে শুরু করেছে নতুন পাতা। প্রকৃতিতে দক্ষিণা বাতাসে আম মুকুলের মৌ মৌ ঘ্রাণে মুগ্ধ চারিদিক।
কোকিলের শু মিষ্টি কুহুতালে ফাগুনের উত্তাল বাসন্তী হাওয়া দিচ্ছে দোলা। গাছে গাছে জেগে উঠেছে সবুজ পাতা। মুকুল আর শিমুল ফুল দেখে বোঝা যায় শীত বিদায় নিয়ে এসেছে ফাগুন।
আজ রবিবার ২৫/০২/২০২৪ সকাল থেকে পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলাতে বিভিন্ন গ্রামে গঞ্জে শহর বন্দরে ঘুরে ফিরে দেখা যায় আগের মত বেশি ভাগ শিমুল গাছ চোখে না পড়লেও মিলেছে কিছু কিছু স্থানে রয়েছে এই শিমুল গাছ ।
এ বিষয়ে পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রবীণদের সাথে শিমুল গাছ বেপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা বলেন, শিমুল গাছ রক্ষায় এখনই ব্যবস্থা না নিলে এক সময় উপকারী গাছের তালিকা থেকে এ গাছটি হারিয়ে যাবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হয়তো জানতেও পারবে না বাংলার মাটিতে শিমুল নামের কোন গাছ ছিল।