1. jfjoy24@gmail.com : admin :
  2. wordpressdefaults@gmail.com : defaults :
করোনা নয়, পুলিশের ভয়ে মাস্ক পরেন চিরিরবন্দরের মানুষ | তিস্তা সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৪:৫৬ অপরাহ্ন

করোনা নয়, পুলিশের ভয়ে মাস্ক পরেন চিরিরবন্দরের মানুষ

প্রতিনিধি
  • আপডেট মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই, ২০২১
  • ১৯৩

 

ভরত রায় প্রত্যয়,
চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-

দিনাজপুর জেলা শহরে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কিছুটা প্রবণতা লক্ষ্য করা গেলেও চিরিরবন্দর উপজেলা শহরসহ হাট-বাজার গুলোতে সামাজিক দূরত্ব তো দূরের কথা, মাস্কও পরছেন না অনেকেই।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) কঠোর লকডাউনের ৫দিনে দুপুরের পর থেকে শহরের জনবহুল ঘুঘুরাতলী মোড় এলাকায় দেখা যায়, অনেকের মুখে মাস্ক থাকলেও অনেকের মাস্ক থুতনির নিচে। আর অনেককে পকেটে মাস্ক নিয়ে ঘুরতেও দেখা গেছে।

মাস্ক না পড়ার কারণ জানতে চাইলে কয়েকজন পথচারী জানান, তারা গ্রাম থেকে চিরিরবন্দরে কেউ কাপড় কিনতে, কেউ হাসপাতালে, কেউবা আবার কারণ ছাড়াই এসেছেন ঘুরতে। গ্রামে মাস্ক পড়ার প্রবণতা না থাকায় তারা মনে করেছেন শহরেও একই অবস্থা। তাই মাস্ক না পরেই রেখেছেন পকেটে। পকেটে রাখার কারণ হিসেবে জানান, পুলিশে, সেনাবাহিনী ও বিজিবি’র ভয়েই তারা মাস্ক সঙ্গে নিয়ে এসেছেন। তবে অত্যন্ত গরমের কারণে মাস্ক না পরে পকেটে রেখেছেন। পুলিশদের দেখতে পায়নি বলেই আর মাস্ক পড়ার প্রয়োজন মনে করেননি তারা। এছাড়া প্রচণ্ড গরমের মধ্যে মাস্ক পড়ে থাকতে খুব কষ্ট হয়, দম বন্ধ হয়ে আসে। যার জন্য তারা মাস্ক আর পরেন না। তবে পকেটে থাকে সব সময়।

আবার রেলওয়ে স্টেশন ও রেলবাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ক্রেতা-বিক্রেতা সহ অনেক্রই মুখে নেই মাস্ক। মাঝে মধ্যে দুয়েক জনের মুখে মাস্কের দেখা মিললেও তা ছিল থুতনির নিচে। বাজারের অবস্থা বোঝার উপায় নাই যে দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব চলছে।

এসময় কথা হয় মাছ ব্যবসায়ী স্থানীয় মুন্দাইল গ্রামের শাহজাহান আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘করোনা নিয়ে মানুষের মধ্যে কোনও ভয় নেই। এখন কেউ মাস্ক ব্যবহার করেন না।’

এদিকে গ্রামের কয়েকজন জানান, আগে গ্রামের হাট-বাজারেও পুলিশ আসতো। পুলিশের ভয়ে মানুষ মাস্ক পড়তো। এখন পুলিশ বা প্রশাসন কম আসে তাই কেউ আসে না। মানুষের ধারণা, করোনা বোধ হয় চলে গেছে। এজন্য গ্রাম-গঞ্জে, হাট-বাজারে মানুষ এখন আর মাস্ক ব্যবহার করেন না।

চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য এখন শহরে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আনসারের সদস্যদের টহল চলমান আছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রমও চলছে নিয়মিতই। করোনা প্রতিরোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, চিরিরবন্দর উপজেলায় গত ২৪ ঘন্টায় ৫৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ জন এবং এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬৭জন, মোট মৃতের সংখ্যা ১৭ জন।

আপনার স্যোসাল মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই বিভাগের আরো খবর
© ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | তিস্তা সংবাদ.কম
Theme Customization By NewsSun