জিজ্ঞাসাবাদে আনজু জানান, গত ৬ মাস আগে বিমানে ভ্রমণের সময় অনামিকার সঙ্গে পরিচয় ও ব্যক্তিগত ফোন নম্বর আদান-প্রদান হয় আনজু’র। এরপর ২ আগস্ট সকালে অনামিকা ফোনে আনজুকে জিলা স্কুলের গেটে ডেকে পাঠান। সেখানে একটি নোহা গাড়িতে বসে থাকা অনামিকাকে দেখে আনজু এগিয়ে গেলে ২-৩ জন অপরিচিত ব্যক্তি তাকে ঘিরে ফেলে এবং জোরপূর্বক পার্শ্ববর্তী সুস্থ জীবন মাদক নিরাময় কেন্দ্রে নিয়ে যায়। এরপর আনজুর দেহ তল্লাশি করে নগদ ৪৪ হাজার ২৫০ টাকা এবং হাতঘড়ি, স্বর্ণের আংটি, ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিনিয়ে নেয়।
এ বিষয়ে আনজু আটককারীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, অনামিকার অনুরোধে মাদকাসক্তের চিকিৎসার জন্য নিরাময় কেন্দ্রে আনা হয়েছে। এরপর জব্দকৃত টাকা ও স্বর্ণের জিনিসপত্র অনামিকা নিয়ে বাকি কাপড় চোপড় ও আনজুর মোটরসাইকেল ভাই এসে নিয়ে যাবে বলে সটকে পড়ে অনামিকা। এরই মধ্যে নিরাময় কেন্দ্র থেকে আনজুর ডোপ টেস্টও করা হয়। এদিকে আনজু’র নিখোঁজের বিষয়টি পিবিআইয়ের নজরে আসলে ৩ আগস্ট তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে তাকে উদ্ধার করা হয়। এরপর পিবিআইয়ের সদস্যরা দিনাজপুর থেকে আনিকা তাসনিম ওরফে অনামিকাকে গ্রেপ্তার করেন।
পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন বলেন, কথিত নারী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দেয়া প্রতারক অনামিকা সরকার ও অন্যান্য সদস্যরা ছদ্মবেশে নিত্য নতুন প্রতারণা করে মানুষকে ঠকিয়ে থাকে। এদের নামে বিভিন্ন থানায় মামলাও রয়েছে। এ মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে এবং গ্রেপ্তারকৃত অনামিকাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply