রংপুরের পীরগঞ্জে বাকপ্রতিবন্ধী ১৩ বছরের এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে।এ ঘটনায় ৩ ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । ঘটনাটি পীরগঞ্জ উপজেলার ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের মিলকী গ্রামে। শুক্রবার (৬ আগষ্ট) বেলা ১২টায় ওই ধর্ষকদের গ্রেফতার করা হয়।
ধর্ষিতার পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে মিলকী গ্রামের ব্যবসায়ী নুর ইসলাম পাকরা’র বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী (১৩) বাড়িতে বিদ্যুৎ না থাকায় বাড়ি সংলগ্ন পুকুর পাড়ে বসে ছিল। এ সময় পাশ্ববর্তী নুরেসলাম মিয়ার পুত্র মাদকাসক্ত সদ্য বিবাহিত আজম মিয়া (২৩), একই গ্রামের আজিজল হকের পুত্র ডিজু মিয়া (২২) ও মিলকী গ্রামের আব্দুল হাই মিয়ার পুত্র শাহাদত (২০) ওই প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ফুসলিয়ে পুকুর পাড় সংলগ্ন নবীর সরকারের পরিত্যক্ত বাড়ির পাশে ডেকে নিয়ে গিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে গণধর্ষণ করে।
এদিকে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে তার বাবা-মা’ ও পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। প্রায় দেড় ঘন্টা পর হঠাৎ শরীরে কর্দমাক্ত অবস্থায় হাউমাউ শব্দে কান্না করতে করতে প্রতিবন্ধী কিশোরী কন্যা বাড়ি ফিরে তার বাবা-মাকে আকার ইঙ্গিতে গণধর্ষণের কথা বলে।
ঘটনাটি তাৎক্ষণিক ভেন্ডাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সংবাদ দিলে রাতেই ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আসাদুজ্জামান আসাদ সহকারী পুলিশ সুপার, রংপুর (ডি সার্কেল) কামরুজ্জামানের নির্দেশে ধর্ষণের অভিযোগে আজম মিয়াকে গ্রেফতার করে। পরদিন (শুক্রবার) সকালে ভেন্ডাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সহকারী পুলিশ সুপার, রংপুর (ডি সার্কেল) কামরুজ্জামান মিলকী ও মাইকড়গ্রামের প্রায় ১৫ জন যুবককে সারিবদ্ধ করে দাঁড় করিয়ে প্রকৃত ধর্ষণকারী কারা ওই প্রতিবন্ধী কিশেরীরকে সনাক্ত করতে বললে আজম মিয়াসহ বাকী ডিজু মিয়া ও শাহাদতকে সনাক্ত করলে পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করে পীরগঞ্জ থানায় নেয়া হয়।
এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার, রংপুর (ডি সার্কেল) কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ওই ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে ।
Leave a Reply