সুজন আহম্মেদ, রংপুর প্রতিনিধি:
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় পঞ্চম দফায় তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় তিস্তা তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে পানির তীব্র স্রোতে উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের সাউদপাড়ায় তিস্তা নদীর ডান তীর রক্ষা বাঁধ হতে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে মার্জিনাল ডাইকের ৫০ মিটার অংশের ব্লক-পিচিং নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
এতে হুমকির মুখে পড়েছে তিস্তার ডান তীর রক্ষা বাঁধ, সাউদপাড়া ইসলামিয়া বহুমুখী আলিম মাদরাসা, সাউদপাড়া পোস্ট অফিসসহ প্রায় শতাধিক বাড়ি-ঘর।
ভাঙন ঠেকাতে শনিবার সকাল থেকে জিও ব্যাগ ফেলার কার্যক্রম শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বৃদ্ধি পেয়েছে তিস্তা নদীর পানি।
শুক্রবার সকাল থেকে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৫ সে.মি (৫২.৭৫) উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।
এরইমধ্যে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে গঙ্গাচড়া উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের সাউদপাড়ায় তিস্তা নদীর ডান তীর রক্ষা বাঁধের মার্জিনাল ডাইকের প্রায় ৫০ মিটার ব্লক-পিচিং ধ্বসে যায়।
অপরদিকে, ওই ইউনিয়নের বিনবিনা চর থেকে লালমনিরহাটের তুষভান্ডার যাওয়া পাকা সড়কের ৫০ মিটার ভেঙে আশেপাশের এলাকা প্লাবিত হয়।
খবর পেয়ে শনিবার সকাল থেকে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সাউদপাড়ায় ও বিনবিনা-তুষভান্ডার সড়কে জিও ব্যাগ ফেলার কার্যক্রম শুরু করে।
সাউদপাড়া ইসলামিয়া বহুমুখী আলিম মাদরাসার সহকারী শিক্ষক ও ওই এলাকার বাসিন্দা আসাদুল হক আনসারী জানান, শুক্রবার রাতে ডান তীর রক্ষা বাঁধের মার্জিনাল ডাইকের ব্লক-পিচিং এর প্রায় ৫০ মিটার ধ্বসে যায়।
অতি দ্রুত ভাঙন ঠেকানো না গেলে মাদরাসাসহ আশেপাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।
স্থানীয় বাসিন্দা হাফিজুল, মইনুল , রাশেদুজ্জামান ,আলিফউদ্দিন, হাফিজুলসহ অনেকেই জানান, ব্লক-পিচিং ধ্বসে যাওয়ায় ভাঙন আতঙ্কে তারা রাত জেগে বসে থাকেন। দ্রুত ভাঙন ঠেকাতে কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে তাদের ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে যাবে নদীতে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, ভাঙন ঠেকাতে এক হাজার জিও ব্যাগ ফেলার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৩শ ব্যাগ ধ্বসে যাওয়া ব্লক-পিচিং অংশে ফেলা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বাকিগুলো ফেলা সম্ভব হলে ভাঙন ঠেকানো যাবে।
বিনবিনা-তুষভান্ডার সড়কেও জিও ব্যাগ ফেলার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।