সুজন আহম্মেদ, রংপুর প্রতিনিধি
রংপুরের গঙ্গাচড়ার একটি পুকুর থেকে আজ রোববার দুপুরে উম্মে হানি নামের (৪২) দুই সন্তানের এক জননীর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ ।
নিহতের কন্যা জানিয়েছেন পারিবারিক বিরোধের জেরে তার বাবা, মাকে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দিয়েছে । আর পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা নেয়া হয়েছে ।
প্রাথমিক তদন্তর উদ্ধৃতি দিয়ে রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) আবু তৈয়ব মোঃ আরিফ হোসেন , শনিবার রাতে খাবারের পর বড়বিল ইউনিয়নের মাল্লিপাড়া গ্রামের জিয়ারুল ইসলাম ও তার স্ত্রী উম্মেহানী (৩৫) ঘুমিয়ে পড়েন । পরে রাত সাড়ে তিনটার দিকে উম্মে হানীর লাশ স্বামী জিয়ারুল বাড়ির পাশের পুকুর থেকে তুলে বাড়ির উঠানে নিয়ে এসে রাখেন ।
পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলছেন , রোববার সকালে খবর পেয়ে আমরা তার বাড়ির উঠোন থেকে লাশ উদ্ধার করি । সেখানে রিপোর্ট লেখার পর ময়না তদন্তের জন্য লাশ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠাই । এ বিষয়ে একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে ।
পোস্ট মোর্টেম রিপোর্টের পরই স্পস্ট হবে তাকে হত্যা করা হয়েছে । নাকি কিভাবে তিনি মারা গেলেন ।
ঘটনাস্থল থেকে থানার এসআই আব্দুর রউফ জানান, তার স্বামী ঘটনার পর বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে । লাশ থানায় এনে মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে ।
নিহতের কন্যা জবা বেগম জানান, আমার বাবা তিনমাস আগে গঙ্গাচড়া সদর ইউনিয়নে ভুটকা গ্রামে জান্নাতি নামের একজনকে বিয়ে করেন । এ নিয়ে বাপের সাথে মায়ের ঝগড়াঝাটি লেগেই ছিল । বাবাই আমার মাকে হত্যা করে পানিতে ফেলে দিয়েছে ।
তবে নিহতের পুত্র জীবন জানান, আমার মায়ের মৃগি রোগ ছিল ।
ঘটনাটি হত্যা নাকি অন্যকিছু তা খতিয়ে দেখতে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন নিহতের পরিবার এবং এলাকাবাসী ।
Leave a Reply