মোস্তফা মিয়া,পীরগঞ্জ(রংপুর)
রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার প্রসিদ্ধ চালের জন্য পরিচিত ভেন্ডাবাডী ইউনিয়ন । যেটি রংপুর জেলা হতে ৪০ কি.মি. দেিণ ও পীরগঞ্জ উপজেলা হতে ২০ কি.মি. উত্তর-পশ্চিম দিকে অবস্থিত। ২নং ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের উত্তরে মিঠাপুকুর উপজেলা, দেিণ ৫নং মদনখালী ইউনিয়ন, ৪নং কুমেদপুর ইউনিয়ন, পূর্বে ৩নং বড়দরগাহ্ ইউনিয়ন অবস্থিত।
ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের অধীনে মোট ২২টি গ্রাম আছে। গ্রামগুলি হচ্ছে আশ্বিনার পাড়া, বেহবতপুর, ভেন্ডাবাড়ী. ভীমশহর, ভুজুবাড়ী, ভুজবাড়ীকাশিপুর, বিশলা, চেতনা পাড়া, ছোট আমবাড়ী, দেবীপুর, জোতবাজ, জোত দিলাল, করন্জাগাড়ী, মহেশপুর মাইকরগ্রাম,মিলকী, মির্জাপুর,পাকুরিয়া, পানবাড়ী,পান্তা পুকুর,সিংগার পাড়া ও শরিফপুরূ ।
ইউনিয়নটিতে শিক্ষা বিস্তারের জন্য রয়েছে ২টি কলেজ, ৪টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি মাদ্রাসা এবং ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ।
ইউনিয়ন বাসীর নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয় বিক্রয়ের জন্য রয়েছে ৩টি হাট বাজার । সে গুলো হচ্ছে ভেন্ডাবাড়ী হাট, মির্জাপুর চাতাল বাজার ও জোত দিলাল বাজার । অনেকের অজানা থাকলেও ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের ভীম শহর মৌজায় রয়েছে একটি দর্শনীয় স্থান । যেটি রাজা ভীম চন্দ্রের কাচারী ও বাড়ী নামে অভিহিত । এলাকার আইন শৃঙ্খলার উন্নয়নে ইউনিয়নটিতে রয়েছে ভেন্ডাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র । উক্ত তদন্ত কেন্দ্র থেকে পাশ^বর্তী ক’টি ইউনিয়নের অপরাধ নিয়ন্ত্রনে পুলিশ প্রশাসন ভুমিকা পালন করছে ।
এবার নির্বাচন প্রসঙ্গ । আগামী ১১ নভেম্বর পীরগঞ্জের যে ১০ টি ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচন হবে ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নও তার অন্তর্ভুক্ত । অথ্যাত সে দিন এ ইউনিয়নেও নির্বাচন হবে ।
উপজেরা নির্বাচন অফিসের সুত্রানুযায়ী ইউনিয়নটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ১৭ হাজার ২শ’ ৮০ জন । এর মধ্যে পুরুষ ৮ হাজার ৫শ’ ৮০ জন এবং ৮ হাজার ৭শ’ ২ জন । ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৯টি । কেন্দ্র গুলি হচ্ছে ভেন্ডাবাড়ী ২ নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভেন্ডাবাড়ী বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শরিফপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভেন্ডাবাড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, ভীমশহর উচ্চ বিদ্যালয় ও পানবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,
এ নির্বাচনে ইউনিয়নটিতে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদন্ধিতা করছেন ৩ জন। আ’লীগ দলীয় মনোনয়ন নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করছেন ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ছাদেকুল ইসলাম।
গত নির্বাচনে বিজয়ী বর্তমান চেয়াম্যান রবিউল ইসলাম এবারে নির্বাচন থেকে বিরত রযেছেন । অপর প্রার্থীরা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হচ্ছেন মোবারক হোসেন (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ) ও কামরুজ্জামান (জাকের পার্টি)। নির্বাচনে সংরক্ষিত ৩টি মহিলা সদস্যের বিপরিদে প্রতিদন্ধিতা করছেন ১২ জন । তারা হলেন জেসমিন বেগম, শাবানা বেগম, কাওসারা বেগম, লাইলী বেগম, রনজিনা বেগম, শিরিনা আক্তার, ফুল মাই, তানজিফা সরকার, খুকি বেগম, শান্তনা বেগম, শহিদা বেগম ও মাফুজা বেগম। এছাড়া ৯টি সাধারন সদস্যের বিপরিদে প্রতিদন্ধিতা করছেন ৪১ জন । তারা হলেন, মালেক মিয়া, ফরমান আলী, জনাব আলী, নয়ন আকন্দ, তুফানু চন্দ্র, ইকবাল হোসেন, রাসেল মিয়া, মনিলাল চন্দ্র, স্বাধীন চন্দ্র, এনামুল মিয়া, শফিকুর রহমান, হযরত আলী,মানিক মিয়া, চান মিয়া, তহিদুল ইসলাম হাফিজার রহমান এনামুল হক, আব্দুল মান্নান মন্ডল, ফজল মিয়া, মেজবাহুর রহমান, এনামুল হক,আব্দুর রহিম, রেজাউল করিম,মোজাহারুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম,লিপু মিয়া, আলতাব হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মেজবাহুর রহমান, আশরাফুল ইসলাম, মামুনার রশিদ, মোয়াজ্জেম হোসেন,আমিরুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, ফজলুল হক, শহিদুল ইসলাম, ফজলুল হক,মাহাবুবার রহমান, আব্দুল মালেক, নুর মোহাম্মদ, সুলতান মাহমুদ ।
বেশ কিছু সংখ্যক ইউপি সদস্য নির্বাচনের সুষ্ট পরিবেশ নিয়ে সন্দিহান এবং তাদের মতে অনেকে নির্বাচনী আচরন বিধি লংঘন করছেন । তারা এ ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছেন ।
এ ইউনিয়নে প্রতিদন্ধি চেয়ারম্যান প্রার্থীদের কাছে প্রশ্ন ছিল- আপনি কেমন নির্বাচন প্রত্যাশা করেন এবং জয়ের ব্যাপারে কতটা আশাবাদী ?
এ ব্যাপারে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী প্রার্থী ছাদেকুল ইসলাম তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমি আমার ইউনিয়নের প্রতিটি কেন্দ্রে সুষ্ট ভাবে নির্বাচন সম্পন্যের লক্ষ্যে সর্বাত্তক চেষ্টা অব্যহত রাখবো এবং আমি জয়ের ব্যাপারে পুরোপুরি আশাবাদী ।
গোলাপ ফুল প্রতিকের প্রার্থী কামরুজ্জামান তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, নির্বাচনে জয় পরাজয় যাই হোক আমি একটা সুষ্ট নির্বাচন প্রত্যাশা করছি এবং জয়ের ব্যাপাওে মোটামুটি আশাবাদী ।
ইউনিয়নের সাধারন অনেক ভোটারদের অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত নির্বাচনী পরিবেশ ভাল এবং এ পরিবেশ যেন অব্যহত থাকে । তারা সকলেই একটা সুষ্ট পরিবেশে ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে যেন জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারেন এমনটাই প্রত্যাশা করছেন ।