পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে মানবতার বন্ধনেসহ বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসায় নগত অর্থ দিলেন- একজন নারী সাংবাদিক মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকাল ৩ টার দিকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে এ মানবতার বন্ধনে সংগঠনে আংশিক নগদ অর্থ দেন তিনি।
এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নারী সাংবাদিক বলেন আমি সাংবাদিকতা করি । আমার বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে আমার তিন ভাই মিলে আমাকে বাড়ি করার জন্য ৯ শতাংশ জায়গা দিয়েছিল। কিন্তু বাবার ভিটায় বাড়ি করলে স্বামীর সম্মান ক্ষুন্ন হবে। তাই আল্লাহর রহমতে নিজে জায়গা কিনে বাড়ি করেছি। যাতে স্বামীর গায়ে ঘরজামাই বদনামটা না লাগে।
ছোট বেলায় বাবা মারা গেছে। আমার মাকে আমি ভীষণ ভালোবাসতাম। মা ও মারা গেছে ২৮মে ২০১৯ ইং তারিখে তারপর নিয়ত করেছিলাম ভাইয়ের দেওয়া জায়গায় একটা মসজিদ স্থাপন করে দিবো। কিন্ত বেশ কিছুদিন আগে আমার অজান্তে দুই মহল্লার লোকজন একত্রিত হয়ে কমিটির মাধ্যমে একটি মসজিদ স্থাপন করে। সেজন্য স্থানীয়রা সেখানে আর মসজিদ স্থাপন করতে চায়না। কারণ দুই মহল্লা মিলে ২৫/৩০ টি বাড়ি। সেখানে একটি মসজিদে যথেষ্ট।
সেই জমি বিক্রি করে এলাকায় দুই মসজিদসহ মোট ৬টি মসজিদ মাদ্রাসা এতিমখানা ও এক দরিদ্র শিশুকে মাদ্রাসায় ভর্তি করার জন্য সম্পূর্ণ টাকা দিয়েছি। আমার কাছে মনে হয়েছে মানুষ মরনশীল। আমাদের সবাইকে একদিন এই পৃথীবির মায়া ত্যাগ করে কবরে যাইতে হবে। অর্থ সম্পদ আত্মীয় স্বজন কেউ আমাদের সাথে যাবেনা। তাই আমাদের উচিত সামর্থ্য অনুযায়ী যতটুকু সম্ভব ভালো কাজ করি।
টাকা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি রহমতুল্লাহ অপু, সিনিয়র সহ সভাপতি আবুল হোসেন বাবলু, সাধারণ সম্পাদক শিমুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রণজিৎ দাস,দপ্তর সম্পাদক সুমন ইসলাম, সদস্য রবিন চৌধুরী রাসেল ও আবদুল্লাহ আল মামুনসহ অনেকে।