মোঃ সইনুল রহমান আকাশ, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশের হাতে প্রেমিকের টানে ভারতীয় এক তরুণী বাংলাদেশে আটক।
ভারতের উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপুকুরের হারিয়ানী গ্রামের ইসরাইল হোসেনের ১৭ বছর বয়সী কন্যা খুসনামা।
তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গীর রতন দিঘী গ্রামের ইসরাইলের ছেলে আব্দুল লতিফ রাকিবের (২১)।
প্রেমিক রাকিবের সঙ্গে দেখা করতে রাতের আধারে সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ওই তরুণী।
কিন্তু বিধিবাম প্রেমিকের সাথে দেখা হলোনা তার।
অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে পুলিশের হাতে আটক হয় তরুণী।
জানা যায়, গত বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি )গভীর রাতে ভারতের মুড়িখাওয়া গ্রাম হতে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার মহানন্দা নদী পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে খুসনামা।
এরপর এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পেরে তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশ মেয়েটিকে আটক করে থানা হেফাজতে আনে।
এদিকে প্রেমিকার বাংলাদেশে আসার খবর পেয়ে প্রেমিক রাকিব ঠাকুর গাঁও থেকে দেখা করতে আসে।
তেঁতুলিয়া পৌঁছে সে জানতে পারে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে তার প্রেমিকা।
খবরটি শুনে সে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে। এরপর বিপদ বুঝে সে পালিয়ে যায়।
জানা যায়, বেশ কয়েক বছর আগে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে খুসনামাদের বাড়িতে গিয়েছিলেন রাকিব।
এরপর মেয়েটির ভাইয়ের সাথে কেরালায় এক হোটেলে ৮/১০ বছর কাজ করে। পুজো পার্বন বা ঈদের ছুটিতে খুসনামাদের বাড়িতে যাতায়াত ছিলো তার।
গত দুই বছর আগে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক মাস আগে বাংলাদেশে আসে রাকিব। কিন্তু মন পড়ে থাকে খুসনামার কাছে।
তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ চলে। একসময় তারা সিদ্ধান্ত নেয় বিয়ে করার।
পরিবার ও দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে চলে আসার কথা রাকিবকে জানায় খুসনামা। রাকিব তাকে চলে আসতে বলে।
গত বুধবার(১৬ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে একাই পায়ে হেটে আসে বাংলাদেশে। কিন্তু হলো না তাদের জুটি বাঁধা!
ভারতীয় ওই তরুণী খুসনামার বলেন, রাকিবকে ছাড়া আমি বাঁচবো না। সে আমার জীবন-মরণের সাথী।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ছায়েম মিয়া বলেন, ভারতীয় ওই তরুণীর বাংলাদেশে প্রবেশের খবর জানতে পেরে আমরা তাকে থানা হেফাজতে নিয়ে আসি।
আমরা জেনেছি, মেয়েটির সঙ্গে ছেলেটির বিয়ে হয়েছিল।
কিন্তু কোন প্রমাণপত্র দেখাতে পারেনি। মেয়েটি নাবালিকা বিধায় আমরা প্রকৃত অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।
এই ঘটনার সঙ্গে অন্য কোন বিষয় জড়িত আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।