ও ধান ভানে রে ঢেঁকিতে পার দিয়া,ঢেকি নাচে আমি নাচি হেলিয়া দুলিয়া, ..এই গানের মতোই গ্রামের চিরাচরিত ঢেঁকিতে দলবেধে মহিলাদের পাড় দেওয়ার এমন এই দৃশ্য এখন আর চোখে পড়ে না। গেরস্তো বাড়িতে সারাবছর ঢেঁকির ঢুকঢাক শব্দ শোনা যেত একটা সময় কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে বাংলার এই গ্রামীন ঐতিহ্য যেন হারতেই বসেছে।এমনি সময়ে দেশে প্রথমবারের মত বানিজ্যিক মটরাইজড ঢেঁকির দেখা মিলেছে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কান্দিনার চরে।
সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায় গ্রামের চিরাচরিত ঢেকির মতোই মটরাইজড এই ঢেকির মাধ্যমে ধান ভাঙ্গানো হচ্ছে। মটরচালিত এই ঢেঁকিতে লাগছে না হাতের ছোঁয়া। প্রত্যক্ষদর্শী একজন আব্দুল করিম মিয়া, তিনি বলেন একসময় আমাদের বাড়িতে ঢেকি ঢুক ঢাক শব্দে আমাদের মা বোনরা ঢেকিতে ধান ভাঙ্গতো,সেই ঐতিহ্য যেন আবার ফিরে এসেছে।এ সময় উদোক্তাটির তরুণ উদোক্তা মেহেদী হাসান রাব্বি বলেন,দেশে ঢেঁকি ছাটা চালের আগ্রহ দিনকে দিন বাড়ছে,আমরা এই ঢেঁকির সাহায্যে বিনা-২০ ও ব্রি ৮৪ এর মত উচ্চ জিংক সমৃদ্ধ লাল ঢেঁকিছাটা চাল উৎপাদন করবো। দেশের প্রথম বারের মত এই বানিজ্যিক ঢেঁকি উদ্ভাবন করেছে ক্যাডসন ইন্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ।ক্যাডসন ইন্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপের স্বতাধিকারী জেমস মার্টিন অধিকারী এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,সনাতন ঐতিহ্যকে ধরে রাখার পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমরা এই ঢেঁকি উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছি।তিনি আরো বলেন এই ঢেঁকির সাহায্য ১৫ মিনিটে, ১০ কেজি এবং ঘন্টায় ১ মন ধান ভাঙ্গানো সম্ভব।উদ্যোক্তাটির আরেকজন মোঃ মাজেদুল ইসলাম বলেন, এই প্রকল্পটি উপজেলা পরিষদ , পীরগাছা এর অর্থায়নে ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহোযোগিতায় বাস্তবায়িত হয়েছে।এ সম্পর্কে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মোঃ মাহবুবার রহমান মাহবুব বলেন অতীতে আমরা ঢেঁকি ছাটা চাল খেয়েছি, এখন ডিজিটাল ঢেঁকিতে ঢেঁকি ছাটা চাল উৎপাদন হবে ভেবে সত্যি ভাল লাগছে।ভবিষ্যতে প্রকল্পটি ভালভাবে বাস্তবায়িত হলে আরও বৃহৎ আকারে হবে বলে আমি আশাবাদী
Leave a Reply