ফেরদৌস জয়ঃ
“আমাকে পারলে সবাই ক্ষমা করিয়েন,আমার এ ছাড়া কোন উপায় ছিল না,আমি বিকাশের সন্তানের মা হতে যাচ্ছি” এমন চিরকুট লিখে রংপুরের পশুরাম এলাকার অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
পারিবারিক ভাবে বিকাশের সাথে পরিচয় হয় ভুক্তভোগী কিশোরীর এরপর এক পর্যায়ে প্রথমে জোর করে ধর্ষণ করে পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কয়েকবার ধর্ষণ করে। এতে কিছুদিন পর অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরে ওই কিশোরী।
গত পহেলা মে বিকেলে ভুক্তভোগী অভিযুক্ত ধর্ষক বিকাশ চন্দ্র রায়কে বিয়ের চাপ দিলে সে অস্বীকৃতি জানায়।
এরপর বাসায় এসে তীরের সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে সেই কিশোরী । রাতে পশুরাম থানা পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই বাদি হয়ে পশুরাম থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে।
এঘটনার পর গা ঢাকা দেয় অভিযুক্ত ধর্ষক বিকাশ।টানা দুই মাস ছায়া তদন্ত শেষে ওই মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এই আই হাবিবুর রহমান হাবিব অভিযুক্ত ধর্ষক বিকাশ চন্দ্র রায়কে ২৩ জুলাই গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
পরে অভিযুক্ত ধর্ষক বিকাশ আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দীতে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই হাবিব জানান,গত দুইমাস থেকে তাকে বিভিন্ন ভাবে ধরাার চেষ্টা করেছি কিন্তু তার ব্যাবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ ছিল। পরে সেই ফোনে আরেকটি সিম প্রবেশ করিয়ে সে পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলে। এরপর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে সুকানচকি নামক স্থান থেকে গ্রেফতার করি।
ভুক্তভোগীর ভাই বলেন,আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।আমরা গরিব মানুষ। তার যেন সর্বোচ্চ সাজা হয়।
জানাযায়,অভিযুক্ত ধর্ষক বিকাশ পশুরাম থানার পূর্বপাড়ার এলাকার বিষম চন্দ্র রায়ের ছেলে।
Leave a Reply