মোস্তফা মিয়া(রংপুর) প্রতিনিধি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের অধ্যাপক নুরুল মোদ্দাসের ওরফে মাসুদ চৌধুরী কর্তৃক আপন বোনের সম্পত্তি বলপূর্বক দখলের পায়তারার বিরুদ্ধে পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাঁর আপন ভাগিনা নাশিদ মাহমুদ হোসেন। গতকাল শনিবার বিকাল ৩ টায় পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের হলরুমে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, উপজেলার শানেরহাট ইউনিয়নের রাউতপাড়া গ্রামের নাশিদ মাহমুদ হোসেন এর নানা মমতাজুর রহমান চৌধুরী ও নানী লুৎফুন্নেসা চৌধুরী মৃত্যুর পর ওয়ারিশ সূত্রে ২৫ একর জমি পান। বিগত ১৯৯১ সালে কাতার প্রবাসী কন্যা তাজুন্নেছা মোছাঃ সিদ্দিকা সুলতানা ছেলে নাশিদ মাহমুদ হোসেন ও তার ২ কন্যাসহ দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফেরার দু’বছর পর ১৯৯৩ সালে নাশিদ মাহমুদ হোসেনের বাবা মোফাখ্খার হোসেন ও তিন মাস পর ১৯৯৪ সালে মা তাজুন্নেছা মোছাঃ সিদ্দিকা সুলতানা মৃত্যুবরণ করেন। এরপর পারিবারিক বৈঠকে নানীর উপস্থিতিতে এতিম নাশিদ মাহমুদ ও তার ছোট ভাই-বোনকে প্রতিপালনের দায়িত্ব নেন ছোট মামা মাসুদ চৌধুরী। বিনিময়ে তিনি তাঁর বোনের প্রথমডাঙ্গা মৌজার ১৬ একর সম্পত্তির কেয়ারটেকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নাশিদ ও তাঁর দু’ভাই-বোন সাবালক হয়ে ওঠায় মামা অধ্যাপক মাসুদ চৌধুরীর নিকট তাদের সম্পত্তি বুঝে চান। এতে মাসুদ চৌধুরী টালবাহনা আরম্ভ করেন। ২০১৭ সালে নাশিদের মায়ের নামে ২৫ একর সম্পত্তির দলিল খুজে পান সন্তানরা। ২০১৮ সালে এসিল্যান্ড অফিসে পীরগঞ্জ উপজেলার শানেরহাট ইউনিয়নের প্রথমডাঙ্গা মৌজায় ১৬ একর জমি খারিজের আবেদন করেন। ২০২০ সালে রের্কড সংশোধনে রংপুর জেলা ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালেও মামলা করেন। নাশিদ মাহমুদ হোসেন সংবাদ সম্মেলনে আরো অভিযোগ করেন, তাঁর মামা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হওয়ায় থানা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রভাব খাটিয়ে মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে তাদেরকে ন্যায্য অধিকার পাওয়া থেকে বঞ্চিত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছেন। পাশাপাশি চলতি বছরের ১৯ জুলাইসহ কয়েকদফা নাশিদদের ভোগদখলিয় সম্পত্তি দখল নিতে আবাদি জমির ফসল নষ্ট করেছেন। তিনি তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সাংসদ স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Leave a Reply