মায়ের বদলে ছেলে স্বাক্ষর করায় মনোনয়ন হারিয়েছিলেন রংপুর দুই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বনাথ সরকার বিটু । পরে নির্বাচন ট্রাইবুনালে আবেদন করেছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু।আজ(১০ ডিসেম্বর) নির্বাচন ট্রাইবুনাল তার আবেদন মঞ্জুর করে প্রার্থীতা ফিরিয়ে দেন।
রংপুর দুই আসন থেকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন লড়তে মনোনয়ন ফরম জমা দেন বিশ্বনাথ সরকার বিটু।কিন্তু নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী ওই আসনে এক শতাংশ ভোটারকে স্বাক্ষর করিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে বাকি সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ জমা দেন তিনি।
এদিকে ওই ওই আসনের নির্বাচনী এলাকায় যাচাই বাছাই করতে যান নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা তাতে দশজন স্বাক্ষর করা ভোটারদের সাথে কথা বলার পর একজন ভোটার জানান,তিনি স্বাক্ষর করেন নি।
পরে এই বিষয়টিকে সামনে রেখে মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা মোবাশ্বের হাসান এই প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেন।
এদিকে প্রার্থীতা ফিরে পেয়ে বিটু জানান,নির্বাচন কমিশনের প্রধান বলছেনে আপনার দশটি স্বাক্ষরের মধ্যে নয়টি রাইট হয়েছে আপনি নির্বাচন করতে পারবেন।
তিনি আরো বলেন,প্রার্থীতা ফিরে পেয়ে ঈদের মত খুশি লাগছে।যে নারীকে নিয়ে সমস্যা হয়েছিল তাকে নির্বাচন কমিশনের সামনে হাজির করেছিলাম।গত কয়েকদিন ধরে মানুষ মুঠোফোনে তাদের দুঃখের কথা জানিয়েছেন।সাড়ে তিনলাখ মানুষের মধ্যে এখন উৎসাহ উদ্দিপনা দেখা যাচ্ছে যা নির্বাচন করতে অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে।আগামী ৭ তারিখের নির্বাচনে অংশগ্রহন করা অনুভূতি সাধারণ মানুষের ভালবাসা এখন থেকে পাচ্ছি।
মনোনয়ন বাতিল হবার দিন তিনি বলেন,
একজন ভোটারের অনুমতিক্রমে তার ছেলে সই করেছেন।নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের কাছে ওই ভোটার আবারো কাগজে সই করার কথা বললে তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি।
তিনি আরো বলেন,জনপ্রিয়তা শীর্ষে থাকায় পরিকল্পিত ভাবে এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।সবার সাথে কথা বলে নির্বাচন ট্রাইবুনালে রিট করবো।
উল্লেখ্য,গত ৪ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই শেষে রংপুরের ৩৯ জন সংসদ সদস্যের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৭ ডিসেম্বর প্রত্যাহার, ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৭ জানুয়ারি।