শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৩০ অপরাহ্ন

পীরগঞ্জে বন ও রাস্তার গাছ কেটে হরিলুট

পীরগঞ্জে বন ও রাস্তার গাছ কেটে হরিলুট

পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি :

রংপুরের পীরগঞ্জে উপজেলা বন কর্মকর্তা কর্তৃক কাঠ ব্যবসায়ী ও বন-চোরদের সাথে যোগ-সাজশ করে দিনে দুপুরে সরকারি রাস্তা ও বনের লক্ষ লক্ষ টাকার গাছ কেটে হরিলুট করার একাধিক উঠেছে।

অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে উপজেলা বন-কর্মকর্তাই শিয়াল পন্ডিতের ভূমিকায়। প্রকাশ, উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তির অভিযোগ ও প্রত্যক্ষ দর্শিদের বিবরনে জানা যায়-উপজেলা বন কর্মকর্তা শাজাহান মিয়া দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন এলাকার কাঠ ব্যবসায়ী ও বোন চোরদের সাথে যোগ সাজোশ করে প্রতক্ষ্য ও পরক্ষভাবে সরকারি বিভিন্ন রাস্তা ও কাদিরাবাদ বন-বিটের গাছ কেটে সাবাড় করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে বনবিট উজাড় করছেন। এতে এলাকার কেউ প্রতিবাদ করলে উল্টো তাদের বিরুদ্ধেই গাছচুরির মামলার ভয় দেখানো হয়, ফলে কেউ প্রতিবাদ করারও সাহস পায় না।

এ কর্মকর্তা উপজেলা বন-কর্মকর্তার পাশাপাশি কাদিরাবাদ বন-বিটেরও বিট-কর্মকর্তার দায়িত্ত্বেও রয়েছেন। সরেজমিনে গত বৃহস্পতিবার কাদিরাবদ বন-বিট এলাকায় এ ব্যাপারে অনুসন্ধানে গিয়ে অত্র এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তিসহ মদন খালি গ্রামের মহির উদ্দিনের পুত্র ইয়াকুব আলী (৪৫) জানায়-গত ৭ মে সন্ধ্যায় কালবৈখী ঝড়ে কাদিরাবাদ বনবিটে প্রায় ৩০টি বড় ইউক্যালিপ্টাস ও অকাশমনি গাছ উপড়ে পড়ে।

কিন্তু এ বন কর্মকর্তা তাৎক্ষনিক এলাকার ৮-১০জন পেশাদার বনচোরকে ডেকে এনে আরও প্রায় ৫০-৬০টি বড় বড় দাড়ানো গাছ কর্তন করে ট্রলিযোগে পাচার করে এবং নাম মাত্র ৮-১০টি উপড়ে পড়া ছোট গাছ বনবিট অফিসে জমা রাখে।

এর প্রতিবাদ করায় এ কর্মকর্তা বনচুরি মামলার হুমকি দেন বলেও জানান ইয়াকুব আলী। অনুরুপ গত ৪ এপ্রিল কালবৈখী ঝড়ে প্রায় শতাধিক বনের গাছ উপড়ে পরলে তাও এলাকার কিছু কাঠ ব্যবসাীদের ডেকে বিক্রি করেন বলে জানান হাসার পাড়ার ইলিয়াস, কাদিরাবাদের মজনুমিয়া, কোচার পাড়ার ইন্তাজ আলীসহ আরও অনেকে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল আলমের সাথে মুঠোফেনে কথাহলে তিনি এর সত্যতা স্বীকার করে বলেন-ঘটনা সত্য, এর প্রতিবাদ করায় ইয়াকুব নামের এক ব্যাক্তি বন কর্মকর্তার মামলার হুমকি থেকে বাঁচতে আমার সাহায্য নিতে এসেছিল।

টুকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান জানান-সম্প্রতি আমার ইউনিয়নেও হরিন সিংহা গ্রামের রাস্তার গাছ কর্তনেও উপজেলা কমিশনার (ভূমি) ও বন কর্মকর্তাকে অভিযোগ দিয়েও কোন ফল পাইনি। অভিযোগের কয়েকদিন পর জানা যায় বন কর্মকর্তা এসে গাছচোরদের নিকট মোটা উৎকোচ নিয়ে চলে গেছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা বন-কর্মকর্তা শাজাহান আলীর সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। অপরদিকে রংপুর বনবিভাগের মিঠাপুকুর রেঞ্জ কর্মকর্তা মুন্জুরল করিম সেলিম এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন-এ ধরনের কিছু অভিযোগ আমরা পেয়েছি, বিষয় গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এলাকাবাসী ও সচেতন মহল এ ব্যাপারে বন বিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ ও তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন, নইলে শিয়াল পন্ডিতকে দিয়ে কুমিরের বাচ্চা লালন পালনের অবস্থা দেখাদিবে এ বনবিটের

আপনার স্যোসাল মাধ্যমে শেয়ার দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2023 teestasangbad.com
Developed BY Rafi It Solution