২৬ মার্চ, তুমি একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র
আশার বাতিঘর,
আনন্দের মিছিল,
অনুপ্রেরণার উৎস,
ভালোবাসার জয়ধ্বনি,
তুমি আবেগের কেন্দ্রস্থল…
১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্বের মানচিত্রে আবির্ভাব হয় বাংলাদেশ নামক স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের। ২৬ মার্চ আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবোজ্জ্বল ও অবিস্মরণীয় একটি দিন।
“তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা”
কবি শামসুর রাহমানের কবিতায় প্রকাশ পেয়েছে, কতটা আত্মত্যাগ, কতটা কাঙ্ক্ষিত আমাদের এই স্বাধীনতা। সংগ্রামী বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন এই স্বাধীনতা৷ দীর্ঘ পরাধীনতার শেকল ভেঙে বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালের এই দিনে কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জন করে।
ভারত বিভক্তির পর পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী বাঙালির উপর অর্থনৈতিক & সামাজিক, নানান দিক থেকে শোষণ করতে থাকে। এরই পরিপেক্ষিতে বাঙালি জাতির মনে সূত্রপাত হয় বাংলাদেশকে শত্রু মুক্ত করার অদম্য সংগ্রাম। মুক্তিকামী জনগণ ক্ষুধা-দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও দুঃশাসন মুক্ত একটি দেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে।
নয় মাসের একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা ছিনিয়ে এনেছিলাম বিজয়ের লাল সূর্য। বিজয়ের এই লাল সূর্য অর্জনের জন্য এমন আত্মাত্যাগের ঘটনা ইতিহাসে বিরল। মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও আগণিত মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে বাঙালি জাতি চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাঙালির অবিসাংবাদিক নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন৷
যাদের আত্মত্যাগে স্বাধীন এই ভূমি, সেই সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।
স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে, স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। স্বাধীনতা রক্ষার মতো দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।
লেখা:- ফাউজিয়া আফিফা শেফা
সমাজবিজ্ঞান বিভাগ ২য় বর্ষ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় রংপুর।
সেশন ২০২১-২০২২