মহামারি করোনায় নাকাল পুরো ভারত। করোনায় মৃত্যু পরবর্তী ঘটনাগুলো আরও বেদনাদায়ক। পরিবারের সদস্যদের হারানোর পর ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নেওয়ার মতো কেউ না থাকলে অনেক বাচ্চারই জায়গা হচ্ছে এতিমখানায়। এমনকি অনেক শিশু জানতেই পারেনি তাদের বাবা-মায়ের মৃত্যুর খবর।
করোনা প্রতিনিয়ত কেড়ে নিচ্ছে বাবা-মা কিংবা আত্মীয়-স্বজনদের। চোখের সামনে এমন ভয়াবহ মৃত্যুতেও থেমে নেই কেউ। কষ্টের দিনযাপন চলমান থাকে এর পরেও।
পরিবারের সবচেয়ে আপনজনদের হারিয়ে দিশেহারা শিশু-কিশোররাও।
পাঁচ বছর শিশু বয়সী রুহি ও মাহি। তিন দিনের ব্যবধানে এরা হারিয়েছে বাবা-মাকে। তাদের লালন-পালনের ভার এখন পুরোটাই বয়োবৃদ্ধ দাদা-দাদির ওপর। শিশুগুলো জানেও না তাদের বাবা-মা আর নেই।জানে না তাদের ভবিষত কি হবে।
রুহি ও মাহির দাদা বলেন, বাবা মারা যাওয়ার পরপরই মারা যায় তাদের মা। এখন ওরা আমাদের সঙ্গেই থাকে। বাবা-মায়ের মতো হয়তো তাদের বড় করতে পারব না, তারপরেও সাধ্যমতো চেষ্টা করব ওদের মানুষের মতো মানুষ করার।
করোনায় বাবা-মাকে হারিয়ে দেশটিতে কয়েক শ’ শিশুর জায়গা হয়েছে এতিমখানায়ও। ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নেওয়ার মতো কেউ না থাকায় হয়েছে এমনটা। এ অবস্থায় চরম উৎকন্ঠা আর শঙ্কায় দিন কাটছে তাদের।
এক স্বেচ্ছাসেবী বলেন, এই শিশুদের বাবা-মায়ের অসুস্থতার পরপরই করোনা পরীক্ষা করালে পজিটিভ আসে। তারা প্রায় সুস্থও হয়ে যায়। কিন্তু হঠাৎ একদিন পরেই মারা যান তারা।
এমন দুর্দিনে পাশে থেকে এসব শিশুকে খাদ্য ও শিক্ষা সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন এতিমখানা কর্তৃপক্ষ।
Leave a Reply