1. jfjoy24@gmail.com : admin :
  2. wordpressdefaults@gmail.com : defaults :
শিক্ষার্থী সংকট রংপুরে একীভূত হওয়ার পথে ৮ প্রাথমিক বিদ্যালয় | তিস্তা সংবাদ
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০১:৪১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বেরোবিতে স্কলারশীপ সাপোর্ট অফিসের উদ্বোধন সারা বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে স্বর্ণ পদক অর্জন করেছে : ওয়াজফিয়া হোসেন মোটরযানে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করলেই ব্যবস্থা বেরোবিতে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির ঘোষণা যানবাহন থেকে চাঁদা আদায়, গ্রেপ্তার ৭ শিক্ষার্থীদের পাশে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক গাইবান্ধায় ফেন্সিডিলসহ ৱ্যাবের হাতে দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক গঙ্গাচড়ায় সরকারি ভর্তূকি মূল্যে কৃষি যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার বিতরণ ঠাকুরগাঁওয়ে মোটরসাইকেল চালকদের বিনামূল্যে হেলমেট বিতরণ সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে বেরোবিতে শিক্ষক সমিতির মৌন মিছিল ও কালো ব্যাজ ধারণ

শিক্ষার্থী সংকট রংপুরে একীভূত হওয়ার পথে ৮ প্রাথমিক বিদ্যালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪
  • ৭২

 

 

রংপুর বিভাগের আট জেলায় ৫০ শিক্ষার্থীর চেয়ে কম আছে এমন ৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একীভূত হতে পারে। প্রাথমিকভাবে এমন একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। যা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। গত দশ বছরের পরিসংখ্যানে ২৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবার কথা থাকলেও বাকি ১৬টি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে ৫০ এর অধিক শিক্ষার্থী বাড়াতে সক্ষম হয়েছে।তবে এটি চূড়ান্ত নয়। তালিকা আরও সংযোজন অথবা বিয়োজন হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, রংপুর বিভাগে মোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা হচ্ছে ৯ হাজার ৫৪৪টি।
একই স্থানে একের অধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবস্থান, দুর্গম যাতায়াত ব্যবস্থা, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের সুসম্পর্কের অভাব, নদীভাঙন, বৈশ্বিক মহামারি করোনাসহ বিভিন্ন কারণে বেশ কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংকট দেখা দেয়। যা চলে বছরের পর। এমন পরিস্থিতিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গত দশ বছর ধরে ৫০ শিক্ষার্থীর চেয়ে কম আছে এমন প্রাথমিক বিদ্যালয় চিহ্নিত করে কাছাকাছি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত করার উদ্যোগ নেয়।

প্রাথমিক শিক্ষা রংপুর বিভাগীয় উপপরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিভারে ৮ জেলার মধ্যে একীভূতকরণের জন্য তালিকাভূক্ত করা ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চর কাপাসিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা হচ্ছে ২৪ জন, ওই জেলার পলাশবাড়ি উপজেলার তেকানী রেজিঃ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা হচ্ছে ২১ জন এবং একই উপজেলার হোসেনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা হচ্ছে ৪৩ জন।

এছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার রাঘবপুর রেজি: বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমান শিক্ষার্থী সংখ্যা ৪৫ জন, একই উপজেলার পি.এ রেজি: বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৪০ জন। পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলার কে.আর.এস মাগুড়া সরকার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ২৮ জন। দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার ঘোনা বিছানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ৩০ জন এবং রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার শংকুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৬ জন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চর কাপাসিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৪৭ সালে যমুনা নদীবেষ্টিত চরে প্রতিষ্ঠা হয়। সরকারিকরণ হয় ১৯৭৬ সালে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল হুদা বলেন, নদী ভাঙনের স্কুলের আশেপাশে আবাদের উপযোগী তেমন জমি নেই। অনেক পরিবার বাড়ি ভেঙে অন্য এলাকায় চলে গেছে। গত চার বছর ধরে অপেক্ষা করছি, বসতি গড়ে উঠলে শিক্ষার্থী পাওয়া যাবে। কিন্তু তা হয়ে ওঠেনি।

নুরুল হুদা আরও বলেন, বিদ্যালয়টির অবস্থান কুড়িগ্রাম জেলার সীমান্ত এবং গাইবান্ধা জেলার মাঝামাঝি প্রত্যন্ত এলাকার চরে। তাই বসতি গড়ে না উঠলে শিক্ষার্থী বৃদ্ধির কোনো সুযোগ নেই। বর্তমানে তার বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী আছে ২৪ জন।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার কেআরএস মাগুড়া সরকারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আহসান হাবীব বলেন, তার বিদ্যালয়ের আশেপাশে বাড়ি আছে প্রায় ৬৬টি। আবার প্রতি বাড়িতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার মতো শিক্ষার্থী নেই। এছাড়াও বিদ্যালয়টির দুই কিলোমিটার থেকে সোয়া দুই কিলোমিটারের মধ্যে কিন্ডারগার্ডেন, মাদ্রাসা, প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। ফলে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থী পাওয়া যাচ্ছে না।

আহসান হাবীব আরও বলেন,
২০২০-২১ সালে বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে প্রায় ১ বছর ৪ মাস প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। এটিও একটি শিক্ষার্থী কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ।

আহসান হাবীব বলেন, এখনো চূড়ান্ত কাগজ না পেলেও যতদূর জানতে পারছি আমাদের বিদ্যালয়টি মাগুড়া প্রধানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত হতে পারে।
বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী আছে ২৮ জন। এটি ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত।

এই তালিকাভূক্ত ৮ বিদ্যালয় ছাড়াও বিভাগের আট জেলায় আরও ১৬টি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০এর নিচে নেমেছিল। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ , স্থানীয় অভিভাবক এবং শিক্ষা কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় বিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে।

এরমধ্যে কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও এবং গাইবান্ধা জেলায় ৩টি করে , রংপুর, দিনাজপুর ও পঞ্চগড় জেলায় ২টি করে এবং নীলফামারী জেলায় ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ।

আগে শিক্ষার্থী কম থাকলেও বর্তমানে শিক্ষার্থী বৃদ্ধি পেয়েছে এমন একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হচ্ছে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার তাহিয়ারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়ালিদা আক্তার বলেন, বর্তমানে শিক্ষার্থী সংখ্যা হচ্ছে ৭৬জন। যা আগে ছিলো ৪৩ জন।

তিনি বলেন, ২০১৬ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি থেকে শিক্ষাকার্যক্রম চালু হয়। আগে থেকে বিদ্যালয়টির ৫ কিলোমিটারের মধ্যে মাদ্রাসা, কিন্ডারগার্ডেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। বর্তমানে শিক্ষক সংখ্যা সন্তোষজনক থাকলেও একটা সময় এখানে কোনো নিয়োগকৃত শিক্ষক ছিলো না। এমনকি দীর্ঘসময় তাকে একাই অনেকদিন শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়াসহ দাপ্তরিক কাজ করতে হয়েছে। ফলে বিভিন্ন কারণে শিক্ষার্থী অনেক কমে গিয়েছিল। তবে বর্তমানে স্থানীয় অভিভাবক, শিক্ষা কর্মকর্তা এবং শিক্ষকরা শিক্ষার্থী বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ বিষয়ে রংপুর বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, আয়তন এবং বিদ্যালয়ের সংখ্যা বিবেচনায় অন্য বিভাগের চেয়ে রংপুর বিভাগে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর চিত্র ভালো। মাত্র ২৪টি বিদ্যালয়ে ৫০ জনের নিচে শিক্ষার্থী আছে। তবে এরমধ্যে ১৬টি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। তবে উল্লেখিত ৮টি বিদ্যালয়ে কোনোভাবে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারছি না।

আপনার স্যোসাল মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই বিভাগের আরো খবর
© ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | তিস্তা সংবাদ.কম
Theme Customization By NewsSun