রংপুরের পীরগাছায় ৩টি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ ও ম্যানেজিং কমিটির বাতিলের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা।

সোমবার সকালে উপজেলার সৈয়দপুর কারামতিয়া দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের পদত্যাগ ও ম্যানেজিং কমিটি বাতিলের দাবিতে দুই ঘন্টা রংপুর-পীরগাছা আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং কল্যাণী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম রাজ্জাকের পদত্যাগের দাবিতে রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও বড়দরগাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম খোকন এর পদত্যাগ দাবি করে সকাল থেকে পাওটানাহাট-রংপুর সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়। এতে করে সড়কগুলোতে উভয় পাশে দীর্ঘ যানজট লেগে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসময় কল্যাণী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়।

শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে জানা গেছে, উপজেলার কল্যাণী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম রাজ্জাক আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি কান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। দীর্ঘদিন থেকে এই প্রধান শিক্ষক ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে নানা অনিয়ম ও দুণীতির সাথে জড়িত। গত রোববার এবং সোমবার দুই দিন থেকে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। এসময় শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তালা ঝুঁলিয়ে দেন। অপরদিকে সোমবার সকালে উপজেলার সৈয়দপুর কারামতিয়া দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের পদত্যাগ ও ম্যানেজিং কমিটি বাতিলের দাবিতে দুই ঘন্টা রংপুর-পীরগাছা আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে নানা স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। পরে প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটির সব কার্যক্রম বাতিল ও কমিটি বিলুপ্তি করে লিখিত দিলে শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবি জানান। প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ উপজেলা কুষকলীগের সদস্য বলে জানা গেছে।

এদিকে বড়দরগাহ উচ্চ বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন নানা অনিয়ম ও দুণীতির কারণে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থী ও সাধারন মানুষ প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম খোকনের পদত্যাগের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে রাখে। দুই দিন থেকে এ কর্মসূচী চললেও কোন সুরাহা হয়নি। নুরুল ইসলাম খোকন আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে বিদ্যালয়টিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন বলে দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।

এসব বিষয়ে জানতে স্ব-স্ব প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা পদত্যাগ করবেন না বলে জানান।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হক সুমন বলেন, শিক্ষার্থীরা আমার কাছে এসেছিলো। আমি তাদের লিখিত ভাবে অভিযোগ করতে বলেছি। তারা অভিযোগ করলে আমরা শিক্ষা বোর্ডে পাঠিয়ে দেব। তারা ব্যবস্থা নেবেন।