1. jfjoy24@gmail.com : admin :
  2. wordpressdefaults@gmail.com : defaults :
লালমনিরহাটে বুলেট হত্যার সাক্ষীকে হত্যার চেষ্টা-এলাকায় উত্তেজনা  | তিস্তা সংবাদ
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:০৮ অপরাহ্ন

লালমনিরহাটে বুলেট হত্যার সাক্ষীকে হত্যার চেষ্টা-এলাকায় উত্তেজনা 

প্রতিনিধি
  • আপডেট মঙ্গলবার, ১৫ জুন, ২০২১
  • ১৪৫

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, লালমনিরহাটঃ
লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর এলাকার আলোচিত যুবলীগ কর্মী ফখরুল ইসলাম বুলেট হত্যা মামলার আসামী কর্তৃক মোস্তাফিজুর রহমান (লুতু) নামে ওই মামলার এক স্বাক্ষীকে মারধর ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

গুরুতর আহত মোস্তাফিজুর রহমান (লুতু) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গত ১১জুন সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের বুড়িরবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শনিবার (১২জুন) সন্ধ্যায় আহত মোস্তাফিজুর রহমান (লুতু)র স্ত্রী রেবেকা সুলতানা বাদী হয়ে লালমনিরহাট জেলা পরিষদ সদস্য তাহমিদুল ইসলাম বিপ্লব ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এনামুল হক সহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরদিন রোববার সকালে ওই ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এদিকে মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে গত রোববার সন্ধ্যায় ওই বাজার এলাকায় বিক্ষোভ করেছে আসামী পক্ষের লোকজন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, বুলেট হত্যা মামলার ঘটনায় আদালতে স্বাক্ষ্য দিতে মোস্তাফিজুর রহমান (লুতু)কে বারবার নিষেধ করে আসছিল মামলার প্রধান আসামী আমিনুল খান ও তাঁর লোকজন। গত শুক্রবার সকালে মোস্তাফিজুর রহমান (লুতু) স্থানীয় বুড়ির বাজারে গেলে সেখানে জেলা পরিষদ সদস্য বিপ্লব এবং হত্যা মামলার আসামী আমিনুল খান তাঁর লোকজন নিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান (লুতু)কে ধাওয়া করে। এসময় মোস্তাফিজুর রহমান (লুতু) দৌড়ে একটি দোকানের ভিতরে আশ্রয় নিলে সেখানেই তাঁর ওপর গুরুত্বর হামলা চালানো হয়। এ সময় তাঁর হাত-পা, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে রামদা, রড ও হাতুড়ি দিয়ে হত্যার উদ্দেশে আঘাত করা হয়। যে ভাবে আঘাত করা হয়েছিলো ফকরুল ইসলাম বুলেটকে। মোস্তাফিজুর রহমান (লুতু)কে বাঁচাতে বাজারের কয়েকজন লোক এগিয়ে এলে তাঁদেরকেও ধাওয়া দেয় ওই আমিনুল খান গ্রুপের লোক জন। পরে রক্তাক্ত অবস্হায় মোস্তাফিজুর রহমান (লুতু)কে সেখানকার একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলের পেছনে পুকুর পারে নিয়ে আবারও বেধড়ক মারপিট করে রক্তাক্ত গুরুত্বর জখম করা হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা দলবদ্ধ ভাবে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

এ ব্যাপারে মোস্তাফিজুর রহমান (লুতু)র স্ত্রী রেবেকা সুলতানা বলেন, তিন দিন ধরে আমার স্বামী সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রংপুর হাসপাতালে পড়ে আছে। তারা আমার স্বামীকে পিটিয়ে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কুপিয়ে গুরুত্বর কাটা জখম করেছেন। আমি এ ঘটনায় জড়িত সকল আসামিদের বিচার চাই।

লালমনিরহাট সদর থানার ওসি শাহা আলম জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে আসামীদের এক জনকে গ্রেফতার করে ওই দিনই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে একই এলাকায় যুবলীগ কর্মী ফখরুল ইসলাম বুলেটকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে স্থানীয় আওয়ামীলীগ কর্মী আমিনুল খাঁন ও তার লোকজন। সে সময় এ হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতারে মানববন্ধন ও সভা সেমিনার করে এলাকাবাসী। ওই মামলার প্রধান আসামী আমিনুল খান সদ্য জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। মুক্তি পেয়ে গ্রামের মানুষকে জিম্মি করে তার দলবল-সহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজ করে যাচ্ছে, যাহা গোপনে তদন্ত করলে প্রমাণ পাওয়া যাবে।

আপনার স্যোসাল মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই বিভাগের আরো খবর
© ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | তিস্তা সংবাদ.কম
Theme Customization By NewsSun