ফেরদ্দৌস জয়
“আমার দুইটা ইতিম বাচ্চা আছে বেতন কমালে আমি কিভাবে বাঁচব” পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কর্মরত এক পরিচ্ছনতা কর্মীর এ আকুতি যেন দম বন্ধ করে দেয়ার মত।
২৬ জুন শনিবার পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে মানববন্ধন করে সেখানকার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা।
দীর্ঘদিন যাবত পপুলারে পরিচ্ছনতা কর্মীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন, কিন্তুু সাম্প্রতিক সময়ে তাদের বেতন কমিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
তাদের অভিযোগ কিছুদিন থেকে পপুলারের ম্যানেজার আব্দুল আহাদ,একাউন্টিং শহিদুল ইসলাম ও প্যাথলজি কালেক্টর আলী হাসান তাদের চাকুরিচ্যুত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।এছাড়াও তাদের কাছ থেকে একাউন্টিং শহিদুল ইসলাম একটি কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে তাদের ভয় ভীতি দেখান।
এছাড়াও প্যাথলজি কালেক্টর আলী হাসানের বিরুদ্ধে পরিচ্ছনতা কর্মীদের সাথে অসংলগ্ন আচরণের অভিযোগ উঠেছে।
একজন পরিচ্ছনতা কর্মী জানান,আমাদের সবাইকে বের করে দিয়ে তারা নতুন কর্মী নিয়োগ করতে চায় ম্যানেজার ।আর যদি চাকুরী করতেই হয় তাহলে ৪ হাজার টাকা বেতনের চাকুরী করতে হবে।আমাদের অনেকের বেতন ৬ হাজর টাকা হঠাৎ বেতন কমালে আমরা কিভাবে বাঁচব।আমাদের দাবি আমাদের বেতন যেন কমানো না হয় তাহলে আমরা না খেয়ে মরে যাব।
এবিষয়ে পপুলারের রংপুর শাখার ম্যানেজার আব্দুল আহাদ বলেন,আমরা কোম্পানীর নিয়ম মেনে কাজ করছি।তাদের কাজ ভালো না তাই তাদের নিয়মের মধ্যে আনতে কোম্পানি এ পদক্ষেপ নিয়েছে।পরিচ্ছনতা কর্মীদের বেতন কমানোর বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।