কুড়িগ্রাম নতুন রেলওয়ে স্টেশনের অ্যাপ্রচ রোড নির্মাণকাজে নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহারের ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা প্রশাসক। বুধবার কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয়দের সাক্ষ্যগ্রহণ এবং আলামত সংগ্রহ করেন।
মঙ্গলবার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সুজাউদ্দৌলাকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন জেলা প্রশাসক। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন কুড়িগ্রাম এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান ও রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগীয় প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন।
কমিটির প্রধান মো. সুজাউদ্দৌলা জানান, বুধবার বিকালে ঘটনাস্থল পরির্দশন করে স্থানীয় জনগণ, ঠিকাদারের প্রতিনিধি ও রেলওয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। বিটুমিন, পাথরসহ নির্মাণসামগ্রীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো কুড়িগ্রাম ও রংপুরের ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে। রিপোর্ট আসলে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করে তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি এবং তদন্ত করে দ্রুততম সময়ে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, কুড়িগ্রাম রেল স্টেশনের সংযোগ সড়কটির সিলকোট করার সময় নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহারের চেষ্টা করলে স্থানীয়দের বাধার মুখে কাজ বন্ধ রেখেছে রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগ। কাজের গুণগতমান নিশ্চিতে তদারকির দায়িত্বে থাকা রেলওয়ে প্রকৌশলীকে বদলির হুমকির অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে।
গত মে মাসের ৭ তারিখে ঠিকাদার উদ্যোগ নিলে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী দেখতে পান যে, নিম্নমানের ৮০-১০০ গ্রেডের ইরানি বিটুমিন আনা হয়েছে। প্রকৌশলী নিম্নমানের বিটুমিন দিয়ে কাজ করা যাবে না বলে ঠিকাদারকে জানিয়ে দেন। এতে ঠিকাদার চড়াও হয়ে প্রকৌশলীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদ করেন।
ঠিকাদারের লোকজন প্রকৌশলীকে বদলি করাসহ নানাধরনের হুমকি দেন। জনগণের বাধার মুখে কাজ বন্ধ করে দেন প্রকৌশলী। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ না হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে অসমাপ্ত রাস্তাটির ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করছে এলাকাবাসী।