শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:৪৩ অপরাহ্ন

দিনাজপুরের খানসামায় ফোন করে ডেকে এনে ৩ বন্ধু মিলে প্রেমিকাকে ধর্ষণ, প্রেমিক আটক

দিনাজপুরের খানসামায় ফোন করে ডেকে এনে ৩ বন্ধু মিলে প্রেমিকাকে ধর্ষণ, প্রেমিক আটক

 

প্রায় মাস খানেক আগে গনধর্ষনের স্বীকার কিশোরীর মোবাইলে কথা ও পরিচয় হয় গোবিন্দপুর এলাকার সেফাউল ইসলামের সাথে। অতঃপর বিয়ের প্রলোভনে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। এরপরে মধ্যে রাতে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এসে ৩ বন্ধু মিলে প্রেমিকাকে জোর পূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (৯জুলাই) মধ্যে রাতে উপজেলার খামার বিষ্ণু গঞ্জ এলাকায়।

এ ঘটনায় শনিবার (১০জুলাই) খানসামা থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন ধর্ষিতা ঐ কিশোরী (১৯)। ধর্ষণের শিকার এই মেয়ে উপজেলার ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের বাসিন্দা।

থানায় অভিযোগের পরেই মূল আসামী গোবিন্দপুর এলাকার সাহাদাত হোসেনের ছেলে প্রেমিক সেফাউল ইসলাম ওরফে ইমরান (২৫) থানা পুলিশের হাতে আটক হয়। আর অপর দুই আসামী খামার বিষ্ণুগঞ্জ মন্ত্রীপাড়া এলাকার সুজন ইসলাম (২২) ও মুকুল শর্মা (২৩) পলাতক রয়েছে।

থানায় অভিযোগ ও ঐ কিশোরীর সাথে কথা বলে জানা যায়, আনুমানিক ২০-২৫ দিন আগে সেফাউল ইসলাম ওরফে ইমরান কিশোরীর মধ্যে মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয় হয়। এরপরে বিয়ের প্রলোভনে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন প্রেমিক ইমরান।

ঐ প্রেমিক ঘটনার দিন গত শুক্রবার রাতে ফোন করে জরুরী গোপন কথা আছে বলে কাকুতি- মিনতি করলে তাঁর সাথে দেখা করতে রাজি হয় কিশোরী। এরপরে বাড়ির বাইরে আসলে প্রেমিক ইমরান এবং উৎ পেতে থাকা প্রেমিকের দুই সহযোগী সুজন ইসলাম ও মুকুল শর্মা কিশোরীকে তুলে নিয়ে খামার বিষ্ণুগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টয়লেটের পিছনে নিয়ে যায়।

সেখানে মেয়েটিকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক পর্যায়ক্রমে সেফাউল ইসলাম ইমরান, মুকুল শর্মা ও সুজন ইসলাম ধর্ষণ করে। এমতাবস্থায় মেয়েটি তাঁর ইজ্জত রক্ষার্থে চেচামেচি শুরু করে। চিৎকার চেচামেচি শুনে স্কুলের পাশেই রাস্তার পথচারীরা এগিয়ে আসলে আসামীরা মেয়েটির ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও পড়নের কামিজ নিয়ে যায়। পরে পথচারীরা মেয়েটিকে উদ্ধার করে তাঁর বাবার বাড়িতে পৌঁছে দেয়।

আসামীদের দ্রুত দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেন ধর্ষিতা ঐ কিশোরী।

ওসি শেখ কামাল হোসেন বলেন, ঐ কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় ১ জনকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এই ঘটনার সাথে জড়িত বাকিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে অভিযান অব্যাহত আছে।

তিনি আরো বলেন, শান্তি প্রিয় এই উপজেলায় এরকম ঘটনা কখনই কাম্য নয়। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে থানা পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে।

আপনার স্যোসাল মাধ্যমে শেয়ার দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2023 teestasangbad.com
Developed BY Rafi It Solution